নরসুন্দার তীরে শিশু-তরুণ আর বৃদ্ধের মিলন মেলায় মহা উচ্ছ্বাসে আজ মেতেছিলো ভোরের আলো সাহিত্য আসর।
আজ ২৬মে-২০২৩,শুক্রবার, সকাল ৯ টায় প্রথমে সংগঠনের কার্যালয়ে ও পরে নরসুন্দা নদের পারে ভোরের আলো সাহিত্য আসরের ৮১৪তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রক্তচুড়া গাছের ফুলের লাল পাপড়ির লালাভ দৃশ্য আর কচি কচি পাতার সবুজাভ মনোহর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে এ আসরটি।
এ আসর মূলত আলোর মেলা পত্রিকায় আলোরমেলা সাহিত্য আসর নামে একটি সাহিত্য পাতা ছিলো তা থেকেই উৎসারিত । পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী। যার সাহিত্য পাতার সম্পাদনায় ছিলেন নাট্যকার আজিজুর রহমান। সম্পৃক্ত ছিলেন আশুতোষ ভৌমিক, জাহাঙ্গীর হোসেন কিরণ, আমিনুল হক সাদী,আসাদুজ্জামান,আবুল কাসেমসহ এক ঝাঁক লিখিয়ে। সাহিত্য পাতায় সীমাবদ্ধ না রেখে তা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেন এ আসরের প্রতিষ্ঠাতা রেজাউল হাবিব রেজা। আলোর মেলা সাহিত্য আসর নামে তা ২০০৩ সাল থেকেই চলে আসছে। সেই হিসেবে এ সাহিত্য আসরের ক্রমিক হবে ১৫০০ শ’র ওপরে। যেহেতু সেসময় থেকে তা নথিভুক্ত হয়নি, সেহেতু তা ২০০৮সাল থেকে ধরে নথিভুক্ত করায় আজ আসরটি ৮১৪তম আসর হিসেবে উদযাপন করা হয়েছে।
এ আসরে ছিলো প্রবীনদের সরব উপস্থিতি। একই সাথে ছিলো তারণ্যের এক সমন্বয়। বাদ ছিলোনা শিশুও। যে শিশুটি হাত নাড়ছিলো প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ হাফিজুর রহমানের ছড়ায় সেই শিশুটি কবি প্রিয় দেবনাথের প্রজন্ম হিসেবে উচ্ছ্বসিত ছিলো প্রতিনিয়ত। আজকের এ আসরটি প্রথমে সূচনা হয় ভোরের আলো কার্যালয়ে। ২য় পর্বে ফটোসেশন ও সঙ্গীতের লহরী তুলতে আসা হয় নরসুন্দা নদের পাড়ে। যাকে বলা হয় ওইতিহ্যবাহী সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বরও। আসরের উভয় পর্বে সভাপতিত্ব করেন নাট্যকার আজিজুর রহমান।
এতে প্রবীনদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি মোঃ নিজাম উদ্দিন, ভোরের আলো সাহিত্য আসরের সাবেক ৫বছরের অধিক দায়িত্ব পালনকারী ও বর্তমানে উপদেষ্টামন্ডলীর সভাপতি মোঃ আবুল বাহার, সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা কবি,ছড়াকার, বিআরডিবির কর্মকর্তা উপপরিচালক কিশোরগঞ্জের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোঃ আতাউর রহমান খান মিলন, ৭১” র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মতিন, কবি মোতাহের হোসেন, কিশোরগঞ্জ উত্তরণ সমাজকল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও সাহিত্য সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক মোঃ শফিউল আলম,অনুষ্ঠান করার স্থানদাতা দন্তচিকিৎক প্র্যক্টিশনারমোঃ হিরা মিয়া, উপদেষ্টা হাকীম মোঃ সুলতান আহমেদ, উপদেষ্টা লায়ন মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, শিল্পী মোঃ জসীম উদ্দীন।
ভোরের আলো সাহিত্য আসরের প্রতিষ্ঠাতা
রেজাউল হাবিব রেজার সঞ্চালনায় তরুনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিন্দু সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা মোঃ হারুনুর রশিদ, কবি ও দন্তচিকিৎসক মোঃ জিয়াউর রহমান,কবি,গীতিকার প্রিয়া দেবনাথ, মনিটর অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আলী রেজা সুমন, নিয়মিত শিল্পী মাজাহারুল ইসলাম, সংগঠনের সহকারি প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ জহিরুল হাসান রুবেল, মরমী শিল্পী মোঃ হামিদুর রহমান, কবি ও গীতিকার মোঃ মর্তুজা জামাল, লোকজ কবি আফরোজা, টিকটক পরিবেশক মোঃ জনি মিয়া ও শিশু তোরশী দেবনাথ।
এ আসর ছিলো অন্যান্য আসর হতে ব্যতিক্রম। একের পর প্রবীণ যখন রোগাক্রান্ত,বয়োবৃদ্ধ ও মানসিক ভারসাম্য হারাবার উপক্রম তখনি তাদেরকে একটু সাহস জুটাতে ও বিনোদন দিতে একই সঙ্গে ফটোসপশনের মাধ্যমে সবাইকে স্মৃতিময় করে রাখতে স্মৃতির ব্যানার স্থাপনের জন্যই ছিলো আজকের এই মিলন মেলা।
একদিকে যেমন নরসুন্দা নদের মনোহর দৃশ্য, রক্তচূড়ার ফুলের লালাভ পাপড়িতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে দৃষ্টিকাড়ার অপরূপ দৃশ্য, অপরদিকে গানের বিপুল সম্ভারে উচ্ছ্বসিত তারণ্যের মাধুরী মিশানো নানা গান ও গানের তরঙ্গ যেন একাকার হয়ে গিয়েছিলো ভোরের আলো সাহিত্য আসরের এ সমাবেশটি। সবদিক বিবেচনায় ৮১৪তম আসরটি ছিল এক অনন্য ও ব্যতিক্রম।
Leave a Reply